Magical Pain
- Zisan Writes
- Nov 27, 2022
- 2 min read
এ আর এমন কি ? রোজ ঘটে -
রাতের ঘুম- দুপুরে অলসতা - বিকেলের আড্ডায়
হাতে সিগারেট, বুক ভরা ধোয়া আর চায়ের কাপ
প্রচন্ড মাথা ব্যথা অথবা খুশিতে
রাস্তায় হেটে যাওয়া রমণীতে
কোন প্রিয় যায়গা- প্রিয় ফুল - প্রিয় ঘ্রাণে
অচেনা শহরে - মনে পরে।
আমি ভাবি সেই রমণীরে - নয় সে সুভা
নয় বনলতা - অপরূপ কেউ জন
ডাকি প্রিয়ন্তী তারে।
এখন গভীর রাত -
জোরেশোরে বাজিছে কুকুরের হাক-ডাক
তার দেয়া আমার কোন নাম না থাকা সুরে,
প্যাঁচারা গাইছে গান।
প্রেমাতাল আমি প্রেমিকার অপেক্ষায় -
নয় সে ভ্রম, রোজই আসে হালকা ঘুমে
গভীর ভাবে হচ্ছে আলোচনা
যাচ্ছে চলে শেষে - নিরুদ্দেশে
এক অনুতাপ আর হাহাকার রেখে।
ডাকি তারে রুক্ষদেবী - জাদুকরী
রূপ নয় - এক মোহে বাধা আমি
চলে যেতে চেয়েও হচ্ছেনা যাওয়া
কিসের যেন টান ও মায়া
কিছুটা পেলেও পড়ত না খরা
তবে সে চায় না ঘোর বর্ষা
দোষ কি তাতে ? এমনি সে ; আমিই বোকা প্রেমিক
জেনে শুনে ফাঁসির দড়ি পড়ছি গলায়
লাগছে কিন্তু বেশ।
কি নির্লজ্জ আমি - লজ্জাহীন ভালোবাসায় অনুতপ্ত
উত্তাপে জ্বলেপুরে ছাই - এখন আমার কিছু হারানোর নাই
তবু আছে। রোজই পুরে যাই, ভাবি এতো জ্বালানি কোথা থেকে পাই
তাই ভালোবাসাকেই পোড়াই ; হচ্ছে না শেষ বাড়ছে খুব বেশ
অবহেলা যুক্ত হচ্ছে সাথে ।
তবে এ আর নতুন কি-
হচ্ছে রোজই- ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে
সিগারেটের টান অথবা ব্রক্ষ্মপূত্রের স্রোতে
হালকা শীতেও কল্পণাতে - কীবোর্ডের ট্যাপট্যাপ শব্দে
হাতের কলম অথবা গানের সুরে,
প্রতিটা মুহুর্তে ভাবি সেই রমণীরে
নয় সে কল্পণা - অবাস্তব আল্পণা
বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুল
না ঝড়া বকুল; লাল টকটকে জবা
অথবা ভোরের উষ্ণতা;
কংক্রিটের শহরে এক মাত্র ছন্দ-
হাজার বছরের মহাকাব্য
আমার গল্পের রমণী -
না সে বনলতা না সে রূপা
তার চেয়েও ছন্দময়ী
প্রিয়ন্তী সে।
আমি এক বোকা প্রেমিক;
ঝড়ে পড়া এক পাতা হয়ে
রাত্রী ভালোবেসে; অমাবস্যায় চাঁদকে ভেবে যাই,
তাই অনুতাপের উত্তাপে; ভালোবাসার চাপে
রোজ রোজ পিষে যাই।
এখন আমি আশাকে করছি খুন; খুব যতনে
প্রতিটা রক্তের ফোঁটায় ঝড়ছে স্বপ্ন; যাক বেরিয়ে
কি আসে যায় থাকতে চাই পাশে; অবসরে
ব্যস্ততায় ট্র্যাফিক জ্যামেও ; নিষ্ঠুরতার বাস্তবতায়
বন্ধু হয়ে, বন্ধু সে যে; চির আপন বকুল ফুলের মত
কোন একদিন শিউলি তলায় এসে; দিয়ে যাবে ফুল
ভালোবাসা না- না প্রেম; অন্য কিছু অসীম এক আকাশ
হালকা স্পর্শ; চঞ্চলতা আর কিছু স্বপ্ন।
কাব্য লিখব আমি; কাব্য ভালোবাসি
যে আমার কাব্যের রাণী তাকে ভোলাও দায়
কি স্বল্পতায় আছি; শূন্যতা জেঁকে বসে
না যাক; থেকে যাক এই কষ্ট ক্ষত; কিছু কষ্টেও মিষ্টি ঝড়ে
সব চলে যাওয়াই মন্দ না; কিছু ভিন্ন ভালোবাসা।
সব চলে যাওয়া ঘৃণা না; মজবুদ বন্ধন যা ফিরে পাবার না
কিছু ফিরে আসা প্রয়োজন, কিছু মানুষ বেশ অপ্রয়োজনীয় প্রিয়জন।
কেউ ব্যবহারের যোগ্য; কেউ ফুলের মত পবিত্র
তবে ফুলও যায় মরে; কষ্ট এতেই ফরমালিনে কাজ করেনা করব কি বলো ?
তাই নতুন গাছ লাগাই; একই ফুলের আশায়
হাজার খানেক বকুল ফুলে একটি ফুলই চাই
হবে সে মুগ্ধকর ভিন্ন একটা প্রিয়ন্তীর মত।

অপ্রয়োজনীয় প্রিয়জন
কেমন শূন্যতা ঘিরে আছে চারপাশ
তবে এ নতুন না; পুরনো অবস্থা ও অভ্যাস
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় প্রিয় মানুষ টা যায় চলে
অপ্রয়োজনে কতজন আসে প্রয়োজনীয় হয়ে
লাভ কি তাতে ? যা হবার হয়েই গেছে
শূন্যতা যেকেই বসে; আঠার মত - কেমন কোষ্ঠী আঠা
একটা কালো দাগ- কিছু চুলকানি ও দেয় জ্বালা
আবার ! আমি আবার অপ্রয়োজনীয় প্রিয়কে খুজি; কারণ ছাড়া।
আমি বারবার ভূলে যাই প্রিয় ভাবা ও প্রিয়জন হারানোর বেদনা
তাই শিখি! আবার ভুলি। দূর্বল মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা অল্প
তাই ব্যর্থতার মালা পড়ে লিখি কাব্য; একটা মুখোশ পড়ার বাসনা
পরাজিত হৃদয়ে কবিতা আসেনা; শব্দরা যায় চলে
দূর্বল মস্তিষ্ক ভূল বোঝেনা ; লিখে অগোছালো গতিপথে।
এখন কেমন শূন্যতা নিয়ে বসে; অপ্রয়োজনীয় প্রিয়জনকে ভেবে
ফোনের স্ক্রিনের ব্রাইটনেসও অল্প-স্বল্প
পুরনো কথা ; পুরনো হাসিতে মেতে ভূলে গেছি
নতুন ভাবে কেমন করে হাসে। কোন বড় ঘটনাতেও কাঁপেনা আর বুক
কেমন অবোধ; অনুভূতিহীন অনুভব। উদ্ভট চিন্তায় মেতে
ভূলে যাই আমার স্বরূপ; নিজেকেই ভিন্ন লাগে
কেমন ছিলাম কেমন হলাম ভেবে ;
এক হাসি-কান্না-অপরাধ-লজ্জার চাদর মাখা বিদঘুটে হাসি আসে।
তবু ঐ অপ্রয়োজনীয় প্রিয়জনকেই মনে পড়ে।
Comments